কুমড়া দীর্ঘ জীবনের জন্য সহায়ক!!!





 একটা কথা  আমি  হয়তো বেশি দিন এই ভার্চুয়াল /অনলাইন জগতে থাকবো  না । তাই যে বিষয় গুলো  একজন কম্পিউটার  ব্যবহারকারিদের  জানা দরকার  সে বিষয় গুলো  জানাবো । দেখি কতটা শেখাতে পারি যদি ও আমি নিজে বেশি জানিনা।

 আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কুমরার উপকারিতা সম্পর্কে ।



শাকসবজির উপকারিতার কথা সবাই জানেন। তারপরও বাড়িতে ছেলেমেয়েরা শাকসবজি খেতে চায় না। বিশেষ করে কুমড়ার প্রতি বয়স্কদেরও কমবেশি অনীহা দেখা যায়। কিন্তু কুমড়া যে দীর্ঘ জীবনের জন্য সহায়ক সে কথাটি জানলে এই অনীহা থাকত না।
অতি সমপ্রতি মার্কিন গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন, কুমড়া নিয়মিত খেলে দীর্ঘজীবী হওয়া যাবে। এই রহস্যের পিছনে রয়েছে আলফা ক্যারোটিন নামের একটি উপাদান। সাধারণত হলুদ কমলা রঙের ফলমূল ও সবজিতে এই উপাদান প্রচুর থাকে। মিষ্টি কুমড়া একটি পুষ্টিকর সবজি। অনেকের কাছে এটি বিলাতি কুমড়া নামেও পরিচিত। এতে প্রচুর ক্যারোটিন (ভিটামিন-এ) এবং অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে। এটা বার মাস ফলানো যায় আবার অনেকদিন ঘরে রেখে খাওয়া যায়| এর শাকও পুষ্টিকর।
মিষ্টি কুমড়া বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। মিষ্টি কুমড়ার শিকড় যথেষ্ট বিস্তৃত। কচি মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে এবং পাকা ফল দীর্ঘদিন রেখে সবজি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পরিপক্ক ফল শুষ্ক ঘরে সাধারণ তাপমাত্রায় প্রায় ৪-৬ মাস সংরক্ষণ করা যায়। মিষ্টি কুমড়া ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন-এ আছে।
নিরপেক্ষ হাইব্রিড জাত। সারা বছর চাষযোগ্য। ফল চ্যাপ্টা এবং ভিতরের মাংসল অংশ বেশ পুরু ও গাঢ় হলুদ। প্রতিটি ফলের গড় ওজন ৭-৮ কেজি। কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়।
এতদিন আমরা একটি পরিচিত উপাদান বিটা ক্যারোটিনের উপকারিতার কথা জেনে আসছি। ক্যান্সার প্রতিরোধ ও হূদরোগ নিরাময়ে বিটা ক্যারোটিনের কথা বলা হয়। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে, বিটা ক্যারোটিনযুক্ত ওষুধ ক্যান্সার প্রতিরোধ নয়, বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বরং আলফা ক্যারোটিনই এখন উপকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গবেষকদের মতে, ফলমূল বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অবহেলিত সবজি কুমড়া যে দীর্ঘ জীবনের সহায়ক উপাদান বহন করছে তা এতদিন জানা যায়নি।    



Share on Google Plus

About মিঠু সরকার

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন